আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ পাকিস্তানে তাইমুর রাজা নামে এক ব্যক্তি ফেসবুকে নবী মহম্মদ, তার স্ত্রীদের এবং সঙ্গীদের নিয়ে মন্তব্য করার পর একটি সন্ত্রাস-দমন আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়াতে লেখার জন্য এই প্রথম পাকিস্তানে কাউকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হলো।
রাজধানী ইসলামাবাদ থেকে ৩০০ মাইল দুরে ভাওয়ালপুরে একটি সন্ত্রাস-দমন আদালতে তাইমুর রাজার বিচার হয়।
তার আইনজীবী জানিয়েছেন, ইসলাম ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে আরেকজনের সাথে মি রাজার তর্ক-বিতর্ক হয়। যার সাথে এই তর্ক বেঁধেছিলো তিনি ছিলেন পাকিস্তানের সন্ত্রাস দমন বিভাগের একজন কর্মকর্তা।
সরকারি উকিল অবশ্য বলছেন মি রাজা একটি বাস স্টপে তার মোবাইল ফোন থেকে ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ সব বার্তা ছড়াচ্ছিলেন।। সে সময় তার মোবাইল ফোন আটক করে ঐ সব বার্তা বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
মি রাজা তার মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করতে পারবেন।
তবে মাত্র কয়েকদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ধর্মের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে একজন কলেজ শিক্ষকে আটক করা হয়। আদালত তার জামিনের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে।
মানবাধিকার কয়েকটি সংগঠন মি রাজার এই মৃত্যুদণ্ডের নিন্দা করেছে। তবে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো মন্তব্য করেনি।
ইসলাম নিয়ে বিদ্বেষমূলক বিভিন্ন পোস্টিং নিয়ে পাকিস্তানের সরকার সম্প্রতি ফেসবুকের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করেছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে, ফেসবুক পাকিস্তানে একটি টিম মোতায়েন করার কথা জানিয়েছে।
বিবিসি উর্দু বিভাগের তাহির ইমরান বলছেন, পাকিস্তানে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে মানুষের ভেতর উদ্বেগ দিন দিন বাড়ছে। একসময় মানুষ মনে করতো অন্তত সোশ্যাল মিডিয়াতে মন খুলে মতামত প্রকাশ করা যায়, কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলার পরিণতি নিয়ে মানুষের ভীতি বাড়ছে।
পাকিস্তানের বহু মানুষ এখন ফেসবুক বা টুইটারের মতো প্লাটফর্ম ছেড়ে বিতর্কিত বিষয়ে আলাপ আলোচনার জন্য বিভিন্ন অ্যাপ-ভিত্তিক প্লাটফর্ম ব্যবহার করছে যাতে অন্যরা সেগুলো দেখতে না পায়।
সূত্র, বিবিসি বাংলা